গণভবন মাঠে শিশুদের সঙ্গে খেলায় মাতলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার হওয়ায় মাধ্যমিকের ভয় কমেছে শিক্ষার্থীদের বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে গণভবনের মাঠে যান। এ সময় শিশুরা দুরন্ত গতিতে মাঠে প্রবেশ করে। পরে প্রধানমন্ত্রীও শিশুদের সাথে মাঠে যান ও তাদের সাথে খেলায় মেতে উঠেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নিজ হাতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার পর তাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খেলায়, গল্পে শিশুদের আনন্দে শামিল হন সরকারপ্রধান।
নতুন বছরে নতুন বই পাওয়ার আনন্দে ঝলমল করে এ ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আনন্দে শামিল হন প্রধানমন্ত্রীও তখন তা পেল ভিন্ন মাত্রা।
গণভবনে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার পর তাদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। সরকার প্রধানের সাথে ছবি তোলা, খেলা আর গল্পে ব্যস্ত সময় পার করে তারা।
পরে গণভবনের মাঠে মুক্ত পাখির মতো ছুটোছুটি আর দোলনায় চড়ে সময় কাটায় শিশুরা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের আনন্দ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে এই দু'টি পরীক্ষা শিশুদের মাঝে আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার ভীতি কাটছে। বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষার একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে, আবার অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর আরেকটা পাচ্ছে, এতে কি হচ্ছে তাদের মধ্যে পরীক্ষার ভীতি কাটছে। যেকোনো সার্টিফিকেট বাঁধায়ে রাখলে নিজের মনের মধ্যে একটা সাহস জাগে। ফলে এসএসসি পরীক্ষার সময় যে ভয়টা থাকে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়।
এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নিজের এসএসসি পরীক্ষার অজ্ঞিতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি যখন নিজে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন ভয় পেয়েছিলাম। বোর্ড পরীক্ষা প্রথম কি হবে না হবে। এখনকার বাচ্চাদের সে ভয় লাগে না। কারণ আগে থেকে এসব পরীক্ষা দিয়ে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগেছে।
তিনি আরো বলেন, আগে পুরনো ছেঁড়া জীর্ণ বই হাতে দেয়া হতো, অনেকের আবার বই কেনার ক্ষমতা ছিল না বাবা মার, বা কিনতে পারত না, এখন আর সেটা নেই। সকলের জন্য নতুন বই। আসলে নতুন বই হাতে পেলে ভালোও লাগে শিশুদের তাকিয়ে এ কথা বলেন। সরকারপ্রধান হেসে হেসে বলেন, নতুন বইয়ের ঘ্রান পেতে ভালো লাগে, আবার নতুন বইয়ে মলাট লাগাতে হবে, নামটা লিখতে হবে অনেক কাজ থাকবে। সেই কাজগুলো সকলে মিলে করা হবে তাই না।
এরপর একে একে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, শিক্ষার আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নতুন বছর এবং বই উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বই শিক্ষার্থীদের বছরের শুরু থেকেই পড়ালেখায় আগ্রহী করে তোলে।
শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে গণভবনের মাঠে যান। এ সময় শিশুরা দুরন্ত গতিতে মাঠে প্রবেশ করে। পরে প্রধানমন্ত্রীও শিশুদের সাথে মাঠে যান ও তাদের সাথে খেলায় মেতে উঠেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরে ২০২০ সালের বই উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১ জানুয়ারি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৫ কোটির বেশি নতুন বই তুলে দেয়া হবে।