নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসে হামলা হতে পারে
ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসে হামলা হতে পারে-এমন আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
তাদের আশঙ্কা, সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করতে পারে ইরান। বিশেষ করে দেশটির দুই বড় শহর নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি তার দুই পরামর্শকসহ ইরাকের বাগদাদে নিহত হন। তারপর গোটা বিশ্বে থাকা মার্কিনিরা হামলার ভয়ে আতঙ্কিত। ইরাকসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে মার্কিনিদের চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সিএনএন জানিয়েছে, নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শহর যেকোনো ধরনের হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, শহরে হামলা হতে পারে-এ রকম কোনো বিশ্বস্ত ও নির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও শঙ্কা বিবেচনায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
মার্কিন এক টেলিভিশনকে মেয়র ডি ব্লাসিও বলেন, আমরা ইরানের সঙ্গে একটা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি। আমরা এখন সম্পূর্ণ এক বাস্তবতার মুখোমুখি। আমাদের জন্য এটা আরও অনেক সংগঠিত হুমকি। ইরান ও তাদের অনেক এজেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করছে।
মার্কিন বিমান হামলায় সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বড় শহর লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা শহরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে খোঁজখবর রাখছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো হুমকি পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ হামলার পরপরই টুইটারে এক সতর্ক বার্তায় জানায়, এখনো কোনো নির্দিষ্ট হামলার ঝুঁকি আসেনি। তবে ইরানের সঙ্গে ঘটনা কোনদিকে যাচ্ছে তা সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ অবস্থা জানতে আমরা আঞ্চলিক, কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।