দু'দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছেপেঁয়াজের দাম
ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দু'দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জানুয়ারির শুরুতে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার কথা থাকলেও তা আসেনি। অন্যদিকে কমে গেছে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানিও।
বিদেশ থেকে নানা শিল্প গ্রুপ পেঁয়াজ আমদানির পর বেশ কিছুদিন স্থির থাকলেও আবারো অস্থির পেঁয়াজের বাজার। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও দু'দিন পর শনিবারে এসে তা ঠেকে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। চীনের পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫, মিশরের ৮৫ থেকে ৯০, আর তুরস্কেরটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজ নাই, চীনের পেঁয়াজেরও দাম বেশি, তাই এই অবস্থা।
তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজ ওঠেনি। সেই চাপটা পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু সেই তুলনায় নেই সরবরাহ। মিয়ানমার থেকেও আসছেনা তেমন পেঁয়াজ। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বাজারে না আসায় তার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে, পোর্ট থেকে পেঁয়াজ ধীরগতিতে আমদানি হচ্ছিল, দেশি পেঁয়াজ যেটা একমাস পরে আসার কথা ছিল সে পেঁয়াজটা চাষিরা আগেই তুলে ফেলেছে। দেশি পেঁয়াজ যেটা এখনো জমিতে আছে গত ৩/৪দিন বৃষ্টি আর কুয়াশার কারণে চাষিরা সেটা জমি থেকে তুলতে পারেনি।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপরে লাগামহীনভাবে বেড়ে পাইকারিতে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে পেঁয়াজের দাম।