তুরস্ক ‘ইরাককে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোন্দলের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হতে দেয়নি
মার্কিন অভিযানে নিহত ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসের মৃত্যুকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে দেশ দুটির প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের সঙ্গে এরদোগানের ফোনালাপ হয়েছে বলে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু ও ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে।
এরদোগানের দফতরের বরাতে ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্র আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এই অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। যে কোনো সংকট নিরসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তারা একমত হয়েছেন।
সূত্রমতে, এরদোগান ইরাকের প্রেসিডেন্ট সালিহকে বলেছেন যে, তুরস্ক ‘ইরাককে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোন্দলের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হতে দেয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ইরান ও ইরাকের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পরই আঞ্চলিক নেতাদের মধ্যে এই আলোচনা হল। শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। হামলায় ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়েছেন।
ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ২৫ যোদ্ধা নিহত হওয়া এবং এর জের ধরে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে টানা দুদিনের বিক্ষোভের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।
ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, সোলেমানির শহীদ হলেও তার কাজ বন্ধ থাকবে না। কিন্তু, যারা নিজেদের হাতে সোলেমানি ও অন্য শহীদদের রক্ত লাগিয়েছে তারা যেন তীব্র প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকে।