‘আয়াতুল কুরসি’ পড়ে মাঠে নামেন হামজা
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের সম্ভ্রান্ত দেওয়ান পরিবারের মেয়ের সন্তান তিনি। তার বাবা জ্যামাইকান।
হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে। সেখানেই বসবাস ও বেড়ে ওঠা তার। সেই সূত্রে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলেন হামজা। বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের কাছে বেশ পরিচিত এ তরুণ।
এখন মায়ের সঙ্গে মিড ইস্টল্যান্ডে থাকেন হামজা। ব্রিটিশ হলেও অনর্গল বাংলায় কথা বলতে পারেন তিনি। তার মা তাকে বাংলাদেশের পরিবেশে বড় করেছেন।
হামজার ভাষ্যমতে, ২০ বারের বেশি বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। সবশেষ এসেছেন ৪ বছর আগে। পেশাদার ফুটবলে যুক্ত হওয়ার আগে।
হামজা ইসলাম ধর্ম অনুসারী। নিয়মিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পড়েন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও সে কথা স্বীকার করেন হামজা।
ফুটবল মাঠে নিজের সফলতার মন্ত্র জানাতে গিয়ে হামজা বলেন, প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নামার আগে আমি ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করি। এটি আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস যোগ করে ও আস্থা বাড়ায়।
এদিকে নতুন বছরের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগে গোল করেছেন ২২ বছর বয়সী হামজা। গত বৃহস্পতিবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করেন। ওই ৩-০ গোলে জয় পায় লেস্টার। দলটির হয়ে ৩ বছরের ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম গোল।
মাঠে নামার ১০ মিনিট পরই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান হামজা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে শটটি নেন তিনি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া বজ্রগতির শটটি ক্রসবারের নিচের অংশে লেগে জালে ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে লেস্টারের জার্সিতে ৩৭তম ম্যাচে এসে গোলের দেখা পেলেন হামজা।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিভাগে ৪৮ ম্যাচ খেলেছেন হামজা। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল রিডিংয়ের বিপক্ষে গোল পান তিনি। গায়ে এখনো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সি চড়েনি। তবে পারফরম করে যেতে পারলে সেই সুযোগও পেয়ে যাবেন সিলেটি ওয়ান্ডারম্যান। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন হামজা।