ইরানের সাথে আলোচনায় রাজী যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের সাথে কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসঙ্ঘে দেয়া এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যুক্তি তুলে বলেছে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে। সোলাইমানি হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান।
যদিও এতে আমেরিকান সৈন্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। ইরানও জাতিসঙ্ঘে বলেছে, নিজেদের রক্ষার জন্যই এ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। চিঠিতে কী বলা হয়েছে? জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসঙ্ঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে তৈরি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চিঠিতে বলা হয়, সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল। জাতিসঙ্ঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে জাতিসঙ্ঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। জাতিসঙ্ঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোনো যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। “এই অভিযান ছিল সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সামরিক ছাড়া কোনো বেসামরিক মানুষ এবং তাদের সম্পদের কোনো ক্ষতি হয়নি,” চিঠিতে জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত।