সাঈদ খোকন কেন মনোনয়ন পেলেন না?
ঢাকার দুই সিটি করপোরশনের ভোট আগামী ৩০ জানুয়ারি। উত্তর সিটির আতিকুল ইসলামকে পুনরায় মনোনয়ন দিলেও দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনকে দেয়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হেরে গেছেন তিনি।
সাঈদ খোকন কেন মনোনয়ন পেলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী সবার ব্যাকগ্রাউন্ড, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং কার কতটা জয় পাবার সম্ভাবনা আছে সেসব বিবেচনা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নিজেকে বরাবরই সফল বলে দাবি করে আসছেন সাঈদ খোকন। বিদায়ের আগে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে নিজের সফলতার ফিরিস্তি দিয়ে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছেন তিনি।
‘বদলে গেছে দক্ষিণ ঢাকা’ শিরোনামে চার পৃষ্ঠার ওই ক্রোড়পত্রে গত সাড়ে চার বছরে নিজের সফলতাগুলো তুলে ধরেছেন। সঙ্গে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলোর ছবিও ছেপেছেন।
এতে তিনি এলইডি বাতি স্থাপন, জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয় কেন্দ্র, বিনামূল্যে দাফনের ব্যবস্থা, ডিজিটালাইজড এলইডি বিলবোর্ড স্থাপন, জলসবুজে ঢাকা প্রকল্প, অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স চালুকরণ, কবরস্থান/শ্মশানঘাট উন্নয়ন, এসটিএস নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, খাল ও ভূমি উদ্ধার, আবর্জনা অপসারণ, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, মশক নিধন কার্যক্রম, স্বচ্ছ ঢাকা কর্মসূচি, হাজার পুনর্বাসন, ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান, যানজট নিরসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নদীর নাব্যতা সচলসহ ৪৩টি কর্মকাণ্ডের কথা বলেছেন। যার মধ্যে কিছু কর্মকাণ্ড গৃহীত, কিছু বাস্তবায়িত এবং কিছু চলমান আছে।
বিগত সাড়ে চার বছরে দক্ষিণ ঢাকার মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নিজের সিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পেরেছেন দাবি করে সাঈদ খোকন আরো বলেন, এ সময়ে যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা বিগত এক দশকেও করা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন উন্নয়নের ধারায় বদলে যাওয়া এক নগরী।
পরিশেষে তিনি বলেন, আমি মানুষ, ফেরেশতা নই। কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি নগরবাসীর দোয়া চাই, দেশবাসীর দোয়া চাই।