মডেলের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি পাকিস্তানের স্পিনার শাদাবের
নারী কেলেঙ্কারিতে এবার নাম লেখালেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খান। আশরিনা সাফিয়া নামের দুবাইয়ের এক মডেল শাদাব খানের নামে একাধিক অভিযোগ তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন।
মডেলের দাবি, শাদাবের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, যা কেউই জানত না। যদিও শাদাবের কাছাকাছি থাকার জন্য শাদাব যেসব দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেন, সেসব দেশে সাফিয়াও গিয়েছেন। পরে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক তাদের নিয়ে প্রতিবেদন ফাঁস করলে এই সম্পর্কের কথা সবাই জেনে যায়। আর এরপর থেকেই আশরিনা সাফিয়াকে হুমকি দিতে থাকেন শাদাব খান।নিজের কাছে সাফিয়ার যত নগ্ন ছবি আছে, সব ফাঁস করার হুমকি দিয়েছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার, জানিয়েছেন সেই মডেল, ‘শাদাব খান ও আমার সম্পর্ক নিয়ে অনেকে অনেক কিছুই বলছে, যা আমি ও আমার পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এত দিন আমি এসব পাত্তা দিইনি। শাদাবের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১৯ সালের মার্চে। আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয় লন্ডনে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়।’
সাফিয়া নাকি শাদাবের কারণে বাংলাদেশেও এসেছিলেন। তার নানা আত্মত্যাগের পরও নাকি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেন শাদাব।
সাফিয়া বলেন, ‘পনেরো হাজার আমেরিকান ডলার খরচ করে উড়োজাহাজে করে বিভিন্ন দেশে গিয়েছি শুধু শাদাব যেসব টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে, সেখানে ওর খেলা দেখার জন্য, ওর সঙ্গে থাকার জন্য—সিপিএল, গায়ানা, বাংলাদেশ ও দুবাই। প্রতিবার ও আমার সঙ্গে থাকার পর অন্য মেয়ের কাছে চলে যেত। আমি শাদাবকে সব সময় বিশ্বাস করেছি। কেননা, আমি ওকে যতই দোষ দিই না কেন, ও আমাকে ওর কাছে রাখার জন্য এমন কিছু নেই যা করেনি। কিন্তু একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক আমাদের নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এরপর থেকেই শাদাব আমাকে হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন নম্বর থেকে এই বলে যে আমি যদি আমাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করি, তাহলে সেও ওর কাছে থাকা আমার সব নগ্ন ছবি ফাঁস করে দেবে।’
সাফিয়ার দাবি ‘লম্পট’ শাদাবকে ভালোবেসে বিনিময়ে শুধু প্রতারণা আর কষ্টই পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাকে যেসব মেসেজ পাঠাচ্ছেন, আমি সব দেখেছি। আমার জন্য ব্যাপারটা খুবই কষ্টের কিন্তু না বলে চুপ করে থাকলেও আসলে হয় না। আলহামদুলিল্লাহ, আমার কাছে এমন এক মাধ্যম আছে (ইনস্টাগ্রাম) যার মাধ্যমে আমি সঠিক কাজটা করতে পারছি। যার সঙ্গে আমি এত দিন ছিলাম, সেই মানুষের অন্যায় লালসার শিকার হয়েছে যে মেয়েরা, তাদের জন্য আমি দুঃখিত। আস্তাগফিরুল্লাহ, আমি এত দিন এই লোককে বিশ্বাস করে গেছি, যা বলেছে অজ্ঞাতসারে মেনে নিয়েছি। কিন্তু আর নয়। এটা পোস্ট করে আমার কোনো লাভ হবে না, কিন্তু এই পোস্টের মাধ্যমে যদি একটা মেয়েরও উপকার হয়, তবে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দুবাইতে আসার পর থেকে আমি এই যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শাদাব একমাত্র ছেলে, যাকে আমি আসলেই ভালোবেসেছিলাম। যদিও এখনো আমার মানতে কষ্ট হয় সেটা। আইনি কারণে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব না আমার পক্ষে, আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি অনুগ্রহ করে সবাই সম্মান দেখাবেন।’
দেখা যাক, শাদাবের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কী জবাব আসে!