ওমরাহ ভিসা : ক্ষতির মুখে এজেন্সিগুলো, অনিশ্চয়তায় ১০ হাজার যাত্রী
বাংলাদেশি যাত্রীদের ওমরাহ ভিসা দেয়া হয় মাত্র ১৫ দিনের জন্য। শিগগিরই সৌদি সরকার বিবেচনা না করলে ১০ হাজার যাত্রী ওমরায় যেতে পারবেন না। এমনকি হোটেল ও ভিসা বাবদ ব্যয় হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় তারা। হাব বলছে, এই ভিসা দিয়েই পরে ওমরায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা। পাশাপাশি টিকিটের টাকা ফেরত পেতেও অনুরোধ জানাবেন তারা।
করোনার কারণে ওমরাহ পালনে সৌদি সরকারের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কারণে যেতে না পারা ১০ হাজার যাত্রী কি পরিমাণ অর্থ ফেরত পাবেন তা অনিশ্চিত। ওমরাহ-য় যেতে মোট খরচের অর্ধেকই ব্যয় হয় বিমান ভাড়া বাবদ। হোটেল, যানবাহনসহ বিভিন্ন সেবার জন্য খরচ হয় বাকিটুকু।
হজ এজেন্সিগুলো বলছে, বড় এয়ারলাইন্সগুলো টাকা ফেরত দিলেও কম ভাড়ার বিমানসংস্থাগুলোর কাছ থেকে টিকিটের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ভিসার মেয়াদ মাত্র ১৫ দিন হওয়ায় যাত্রীরা যেতে না পারলে গচ্ছা যাবে ২০ কোটি টাকা।
হাব বলছে, এয়ারলাইসগুলো যেন চার্জ না কেটে টিকিটের টাকা ফেরত দেয় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বিমান মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। আর ভিসা ও হোটেল ভাড়ার টাকা ফেরত পেতে নেয়া হবে কূটনৈতিক উদ্যোগ।
হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো কাছে প্রত্যাশা করবো যেসকল ওমরাহ যাত্রীদের ওনারা নিতে পারেন নাই, তাদের সকলের টাকা চার্জ কর্তন না করে ফেরত দিবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।
সপ্তাহে বিমানের ২৪ টি ফ্লাইটের মধ্যে ১১ টি যায় জেদ্দা ও মদিনায়। এই দুটি ফ্লাইটে ওমরাহ যাত্রীরা সৌদি যেতে না পারলে শুধু মার্চ মাসে ৪৪ টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানের আনুমানিক ১৫ হাজার আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। তবে ফিরতি ফ্লাইটগুলো পুরো বুকিং থাকায় ফ্লাইট বাতিল করবে না বিমান।বিমান বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, আমার এখন ক্ষতি হবে সেটা ঠিক, কিন্তু আমাকে ফ্লাইট চালাতে হচ্ছে। মার্চ মাসের পুরোটাই বুকিং দেওয়া হয়েছে। তাই ফ্লাইট চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিমান, সৌদি এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, এয়ার অ্যারাবিয়া, কুয়েত ও গালফ এয়ারসহ ১০ টি এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে প্রতিদিন ১৫ টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে। মোট যাত্রীর ৩০ শতাংশই ওমরাহ ভিসার। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রী খরা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা বিশ্লেষকের।
এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যখন ওমরাহ যাত্রী নিতে পারছে না। হঠাৎ করে এই সিট ভরা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। যার কারণে এয়ারলাইন্সগুলো আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়বে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার যাত্রী ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যায়।