নাটকীয় জয়ে টাইগারদের সিরিজ জয়
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড ৩২২ রান করে টাইগাররা ধরেই নিয়েছিল জয় নিশ্চিত। কিন্তু বাজে বোলিংয়ের কারণে জয়ের ম্যাচেও পরাজয়ের দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল।
নিশ্চিত পরাজয় জেনেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া ডোনাল্ড ত্রিপোনো শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে না পারায় ৪ রানে হেরে যায় জিম্বাবুয়ে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় নিয়ে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি নিশ্চিত করে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার তামিম ইকবালের রেকর্ডময় ইনিংস আর মুশফিকুর রহিমের ফিফটির ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে ৩২৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। সফরকারী দলের ওপেনার রেগিস চাকাভাকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন টাইগার পেসার শফিউল ইসলাম। এরপর অবিশ্বাস্য এক থ্রোয়ে জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলরকে রান আউট করেন মিরাজ। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর বল হাতে শন উইলিয়ামসের (১৪) উইকেট তুলে নেন মিরাজ।
৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন টিনাশে কামুনহুকামউই। তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। তবে সফরকারী দলের এই ওপেনারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে মিডল স্ট্যাম্পের বেল ভেঙে গেলে শেষ হয় তার ৭০ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
এরপর ৮১ রানের জুটি গড়েন ওয়েসলে মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন যুব বিশ্বকাপের তারকা মাধেভেরে। তাইজুলের শিকার হয়ে মাধেভেরে (৫২) বিদায় নেওয়ার পর ফিফটি তুলে নেন রাজাও। তবে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রাজাকে (৫৭ বলে ৬৬) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রো এনে দেন মাশরাফি। এর আগে রিচমন্ড মুতুম্বামিকে (১৯) দ্রুত বিদায় করেন তাইজুল।
২২৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েও লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি জিম্বাবুয়ে। বরং টিনোটেন্ডা মুতুম্বোদজি আর ডোনাল্ড তিরিপানো মিলে টাইগার বোলারদের কঠিন সময় উপহার দিয়েছেন। এই দুজনের ঝড়ে ১৮ বলে ৪১ রান থেকে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ রান। নিজের নবম ও ইনিংসের ৪৯তম ওভারে শফিউল খরচ করলেন ১৪ রান।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। আল-আমিনের করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ২১ বলে ৩৪ রান করা মুতুম্বোদজি। এর আগে দুজনের জুটিতে আসে ৪৩ বলে ৭৮ রান। কিন্তু তিরিপানো থামার পাত্র নন। স্ট্রাইকিং প্রান্তে গিয়েই পরপর দুই ছক্কা মারেন তিনি। তবে পঞ্চম বলে ডট আর শেষ বলে ১ রান খরচ করেন আল-আমিন। ২৮ বলে ৫৫ রানের ঝড় তুললেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলে নাম লেখান তিরিপানো।