নন-কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা না দিলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল
চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দেশের সব হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসার পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর পরিপেক্ষিতে গঠিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল থেকে সোমবার (১১ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১২ মে) জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব (সাময়িকভাবে সংযুক্ত) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা গতকাল জারি করা হয়।
এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ মে) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর দেশের হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে বিনা চিকিৎসায় কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ আছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো- সব বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে। চিকিৎসা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আগত কোনো রোগীকে ফেরত দেওয়া যাবে না। রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ‘কোভিড-১৯ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের’ সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে রেফার করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে যেসব রোগী কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত না হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।
মিডিয়া সেলের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দেশের কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে এসব নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।