উত্তরের নতুন ধান উঠতেই বাজারে মণপ্রতি ৩শ' টাকা পর্যন্ত পড়ে ধানের মণ ৬শ টাকা।
নতুন ধান উঠতেই উত্তরের বাজারে মণপ্রতি ৩শ' টাকা পর্যন্ত পড়ে গেছে দাম। বেচা-কেনা হচ্ছে ৬শ' থেকে সাড়ে ৬শ' টাকায়। ২৬ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণা থাকলেও রংপুর বিভাগে এখনও শুরু হয়নি সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান।খাদ্য বিভাগ বলছে, কৃষকের তালিকা না পাওয়ায় ধান কেনা শুরু হয়নি। আর কৃষি বিভাগ কয়েকদিনের মধ্যেই তালিকা প্রস্তুতের আশ্বাস দেয়।
আশাতীত ফলনে ভরে উঠেছে শস্যভান্ডার উত্তরের রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বিস্তৃত ফসলের মাঠ।
এখানকার ৮টি জেলায় ৩১ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ছাড়িয়ে আরও ২ লাখ মেট্রিক টন বাড়তি হবে এবার। কিন্তু নতুন ধান বাজারে আসতেই দরপতনে হতভম্ব কৃষক।
একজন কৃষক বলেন, 'ধান রোপণ করা থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে পয়সাডা খরচ করি সেই পয়সাডা আমাদের ওঠে না।'
আরেক কৃষক বলেন, 'এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আমরাতো মারা পড়ে যাবো।'
কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান হাতিয়ে নিতে এবারও সিন্ডিকেট সক্রিয়। তাই দ্রুত সরকারের খাদ্যশস্য কেনা শুরুর তাগিদ দিচ্ছেন রংপুর বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।
তিনি বলেন, 'কৃষক প্রতিবারই প্রতারিত হচ্ছে। কোনোভাবেই যেন কৃষক প্রতারিত না হয় সে জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে।'
কৃষকের তালিকা তৈরি না হওয়ায় সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়নি বলে জানান রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'কৃষক তালিকাটা পাওয়া মাত্রই ধান সংগ্রহের যে কমিটি আছে তারা লটারি সম্পন্ন করবেন।'
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সরওয়ারুল হক বলেন, 'ইতিমধ্যেই তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। আশা করি ২ দিনের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত তালিকা খাদ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে পারবো।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে ২ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ।