যাত্রী নেই বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে
দুই মাসের বেশি সময় পর অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল শুরু হলেও আশানুরূপ যাত্রী মিলছে না। করোনা আতঙ্কে প্রাথমিক পর্যায়ে কম হলেও ক্রমশ যাত্রী বাড়ার প্রত্যাশা সিভিল এভিয়েশনের। বাকি চারটি অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট চালু করতে চায় বিমান সংস্থাগুলো। কিন্তু রাজশাহী, বরিশাল, যশোর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে কোন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা না থাকায় ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে বিমান চলাচল শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে চটগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে মাত্র ২৪টি ফ্লাইট অনুমোদন দেয় সিভিল এভিয়েশন। সাথে জুড়ে দেয়া হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ৩৫ দফা নিদের্শনা।
বিমান সংস্থাগুলোর প্রত্যাশা ছিল, সাধারণ ছুটিতে আটকে পড়া মানুষ কর্মস্থলে যোগদান বা বাড়ি যেতে বেছে নেবেন আকাশপথ। কিন্তু এখনও পিছু ছাড়েনি ভ্রমণে ভীতি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব ব্যবস্থা নেয়ায় ক্রমশ যাত্রী বাড়বে এমন প্রত্যাশা সিভিল এভিয়েশনের।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আপাতত কয়েক দিন যাত্রী কম হতে পারে। কারণ যাত্রীদের একটু শঙ্কা আছে। তবে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিয়েছি তা জনগণ জানতে পারলে যাত্রী বাড়বে।
এদিকে সব প্রস্তুতি থাকলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় রাজশাহী, বরিশাল, যশোর ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দুই মাস আগে চিঠি দেয়া হলেও সাড়া না মেলার অভিযোগ শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালকের।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পরিচালক এ কে এম জুনায়েদ বলেন, আমরা চাই আগের মতো সবগুলো স্টেশন চালু হোক। আমার ধারণা বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ সেবা যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই প্রস্তুত আছেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার সে বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় চারটি বিমানবন্দরে সেবা চালু করা যাচ্ছে না।
শাহজালালসহ দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে চিকিৎসক থাকলেও বাকী চারটি বিমানবন্দরে নেই থার্মাল স্ক্যানার ও চিকিৎসক।
এদিকে যাত্রী কম থাকায় বাংলাদেশ বিমানের আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবারের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।