এখনো গভীর কোমায় নাসিম বিদেশে পাঠানো হতে পারে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি এখনো গভীর কোমায় আছেন। চেতনা ফিরে পাননি, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন না। সোমবার বিকেলে তার বিষয়ে চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
তবে পুনরায় তার কভিড-১৯ শনাক্তকরণ টেস্ট করা হবে। যদি এবার তার করোনা নেগেটিভ আসে তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে। সোমবার (০৮ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
গত সোমবার (০১ জুন) সকালে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, উনার অবস্থা অপরিবর্তিত। নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন। উনার আবার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে। নেগেটিভ হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্য়ায়ে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম গত শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন।
এরপর শনিবার (০৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে। সেখানে তাকে সময় বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার (০৭ জুন) মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তারভির শাকিল জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাবা কোমায় আছেন।
এদিকে, সোমবার দুপুরে নাসিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষ হয়। তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রাখা হবে। কোভিড-১৯ নেগেটিভ এলে তার পরিবার এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
যেহেতু তিনি করোনা আক্রান্ত, তাই বাইরে কোনো দেশের হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারাও খোঁজখবর নিচ্ছেন।