ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধির সমালোচনায় তারানা হালিম
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের মধ্যেও প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়ানোর সমালোচনা করেছেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।
আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মোবাইলে কথা বলা, ভিডিও কলে কথা বলা, অনলাইনে কাজ করা সবই পরোক্ষভাবে অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমানে টেলিকম সার্ভিসকে অপরিহার্য সেবা বলার পরও কেন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বাজেটে আগের ২১ টাকার বদলে এখন ২৫ টাকা কাটবে, তা বুঝলাম না। বর্তমান মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের প্রতি বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ রইলো।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধিসহ গ্রাহকদের ওপর চাপ পরে এমন কোন কিছুর সাথে একমত হইনি।
কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভয়েজ ও ডাটা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত হলো সাশ্রয়ী মূল্য। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য।’
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
নতুন কর হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। এ হিসেবে প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে ২৫ টাকার কিছু বেশি কর কাটা হবে।