বেশি খরচ, তাই নিজেরাই রেমডিসিভির বানাচ্ছে ভারত
করোনার চিকিৎসায় গোটা বিশ্বে আশা জাগিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট ‘গিলেড সায়েন্স’-এর উৎপাদিত রেমডিসিভির। ভারতের তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাকেও এই ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে মার্কিন কম্পানিটি। অনুমোদনপ্রাপ্ত কম্পানি তিনটি হল- সিপলা, হেটেরো ল্যাব এবং জুবিল্যান্ট লাইফ। চলতি মাসের শেষ দিকে ভারতের বাজারে ওষুধটি বাজারে ব্যাপকভাবে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে ওষুধটি আমদানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ভারত। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কম্পানি এসকেএফ এবং বেক্সিমকো রেমডিসিভির তৈরি করে বাজারজাত করেছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের তৈরি রেমডিসিভির আমদানির চিন্তা করেছিল ভারত। তবে সরকারি অনুমোদন না মেলায় ও বেশি খরচ হবে বিধায় নিজেরাই রেমডিসিভির তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। বর্তমানে, ভারতে গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি কভিড-১৯ রোগীদের জরুরি ব্যবহারের জন্য ড্রাগটি অনুমোদিত।
এন্টিভাইরাল ড্রাগটির ১১ ডোজের পূর্ণাঙ্গ কোর্সের জন্য প্রায় ৫৫ হাজার টাকা বা ইনজেকশন প্রতি ৫ হাজার টাকা টাকা লাগতে পারে। যেটা বাংলাদেশ থেকে আমদানির দামের তুলনায় অনেক কম।
ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো দাবি করেছে যে, ভারতে রেমডেসিভির তৈরি করতে তারা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত এবং এই উৎপাদন শুরুর জন্য চীনের উপর কোনো নির্ভরতা নেই। রেমডিসিভির তৈরির কাঁচামাল-সহ সব উপকরণ ভারতের হাতে মজুদ রয়েছে।
গিলেডের তৈরি ওষুধটি আলোচনায় আসার পর মার্কিন সংস্থাটির সঙ্গে ভারতীয় তিনটি ওষুধ নির্মাতা কম্পানির চুক্তি হয় মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। জুনের প্রথম সপ্তাহে সংস্থাগুলো ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন পেয়েছিল।
করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলো বাংলাদেশের সংস্থাগুলোর থেকে এটি আমদানি করার বিষয়টি বিবেচনা করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা ওষুধটি বাংলাদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমদানির জন্য ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন চেয়েছেন। তবে আমদানির বদলে ভারত এটা নিজেই উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিঘ্রই ভারতীয় উৎপাদনকারীরা এটা বাজারে আনতে সক্ষম হবেন।