২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪৬২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ৩৭ জনের
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৪৬২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫৮২ জনে।
এর আগে মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছিলেন ৪৩ জন। শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৪১২ জন। সে তুলনায় বুধবার মৃত্যু কমেছে। কিন্তু শনাক্ত বেড়েছে।
বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে ৪ হাজার ৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
এদিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার ২২৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৬৫ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৪ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় সংখ্যার দিক থেকেই বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৭০ জনের।
মৃতের হিসাবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৭৭১ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯ জন।
তৃতীয় স্থানে এবং ইউরোপের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২৭ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ২১০ জন।
এছাড়া ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৩ জন। ফ্রান্সে করোনায় ২৯ হাজার ৭২০ জনের মৃত্যু ও ১ লাখ ৬১ হাজার ২৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।