'করোনার প্রভাবে দরিদ্র হতে পারে তরুণদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৮ শতাংশ পরিবার'
করোনার প্রভাবে ২৫ শতাংশ আয় কমলে তরুণদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৮ শতাংশ পরিবার দরিদ্র হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের আয়োজনে তরুণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, প্রেক্ষাপট বাজেট প্রস্তাবনা বিষয়ে অনলাইন সেমিনারে এ তথ্য দেয়া হয়। সেমিনারে করোনাকালীন সময় তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন অর্থবছরের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা তুলে ধরেন আলোচকরা।
বাংলাদেশের অন্তত ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছর। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে হিমশিম খেতে হয়। কর্মে সক্ষম নতুন যোগ হওয়াদের মধ্যে অর্ধেক থেকে যায় বেকার আবার অদক্ষ, অল্প দক্ষদের বড় অংশ কাজ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে।
এমন বাস্তবতায় করোনার হানা অনেকটা মরার ওপর খাড়ার ঘা। এলোমেলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গেলো কয়েকমাসে কর্মহীন, চাকরি হারানো বা বিদেশ ফেরত লোকের সংখ্যা আরও বেড়েছে। নতুন নিয়োগ বা কাজের যোগান বর্তমান অবস্থায় খুবই সীমিত। বেসরকারি সংস্থা সানেমের গবেষণা বলছে দরিদ্রের হার বেড়ে যেতে পারে। নতুন বাজেটের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, বহুমুখী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সেবা নিশ্চিত করার মতো বিষয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে বলে মনে করে সানেম।
সেমিনারে তরুণদের আধুনিক কৃষিতে আরও সম্পৃক্ত করা, শুধু গতানুগতিক শিক্ষা পরিহার করা, নতুন উদ্ভাবনী কর্মকে সহযোগিতা করার বিষয় প্রাধান্য দেয়ার বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে। পাঠাওয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, অর্থনীতির সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বলে শহরের রাইড শেয়ারিং বন্ধ আছে। এতে বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী বেকার দিন কাটাচ্ছে।
তরুণ শক্তির সক্ষমতা কাজে লাগানোর সময় কমে আসছে তাই সময় থাকতেই সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের। বাজেট শুধু আকার না বাড়িয়ে জনসম্পৃক্ত করে মানসম্মত বাস্তবায়ন জরুরি বলে মত অ্যাকশন এইডের প্রধান নির্বাহী ফারাহ কবির।
সেমিনারে বলা হয়, তরুণ যুবকদের সঙ্গে সম্পর্কিত ২২ মন্ত্রণালয় আছে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো তরুণদের ফোকাস করে করা হয় না।