মেসি-রোনালদো একসঙ্গে, ঝাঁকুনি খাবে ফুটবল বিশ্ব
বর্তমান সময়ে ক্লাব ফুটবলের দুই মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। এক সময় দুজনই স্প্যানিশ লা লিগার দুই জায়ান্ট ক্লাবের হয়ে গোটা বিশ্বে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তবে মেসি বর্তমানে লা লিগা মাতালেও রোনালদো উড়ে গেছেন ইতালিতে। খেলছেন য়্যুভেন্তাসের হয়ে। অন্যদিকে মেসি কাতালান ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন বলে বেশ কয়েকবার গুঞ্জন উঠলেও প্রতিবারেই তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এবার সেই বার্সা থেকেই মেসির বিদায়ের সুর শোনা যাচ্ছে। বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি কোন দলে যোগ দেবেন সেটিই এখন প্রধান আলোচনার বিষয়।
মেসিভক্ত ছাড়াও ফুটবল ক্লাব ও বর্তমান-সাবেক ফুটবল তারকাও মেসির এই দলবদলের আলোচনায় নাম লেখাচ্ছেন। ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রিভালদো জানিয়েছেন, ম্যানচেস্টার সিটির পরই য়্যুভেন্তাসে অর্থাৎ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাবে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে মেসির। আর সেটি হলে ফুটবল বিশ্ব যে একটা বড় ঝাঁকুনি খাবে সেটি নিশ্চিত করেই বলছেন তিনি।
ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রিভালদো বলেন, মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার যে কথা চাউর হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে অনেক এজেন্টই হয়তো তাকে (মেসি) য়্যুভেন্তাসে খেলতে দেখার স্বপ্ন দেখছেন। তেমন কিছু হলে বিশ্ব একটা ঝাঁকুনি খাবে এটা নিশ্চিত। তবে আমার বিশ্বাস মেসির ওপর যে টাকা বিনিয়োগ করবে, তা তুলে নিতে য়্যুভেন্তাসের কোনো অসুবিধাই হবে না।
তিনি বলেন, ‘এ দু’জনকে (মেসি ও রোনালদো) একসঙ্গে খেলতে দেখা গেলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্যাপার। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, বিশ্বের গত এক দশকের সেরা দুই খেলোয়াড়কে এক ক্লাবে দেখাটা হবে বিশাল ব্যাপার।
তবে রোনালদোর য়্যুভেন্তাসে যাওয়ার আগে লিওনেল মেসি ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতে পারেন বলে মনে করেন রিভালদো। ‘বেটফেয়ার’কে বার্সেলোনার সাবেক এ তারকা বলেন, ‘মেসির চুক্তি শেষ হবে ৩৪ বছর বয়সে। আমি বিশ্বাস করি, তার মানের খেলোয়াড় তখনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বার্সেলোনার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকলেও মেসির ক্লাব ছাড়ার অধিকার আছে। সেক্ষেত্রে পেপ গার্দিওয়ালার সঙ্গে মেসির পুনর্মিলনীর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বার্সায় তারা দু’জন (মেসি-গার্দিওলা) মিলে দারুণ জুটি গড়েছিলেন।
২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে য়্যুভেন্তাসে যোগ দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে রোনালদোকে দলে ভেড়ায় তুরিনের এই ক্লাবটি। যেখানে চার বছরের চুক্তিতে তুরিনের ক্লাবটিতে যোগ দেন এই পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড। য়্যুভেন্তাসে প্রতি মৌসুমে ৩০ মিলিয়ন ইউরো আয় করছেন তিনি।