চালের দাম কমলেও কোনো প্রভাব পড়ে না খুচরা বাজারে,ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন আগের দামেই
পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও তার কোনো প্রভাব পড়ে না খুচরা বাজারে। অথচ দাম বাড়ার আওয়াজ উঠলেই বেড়ে যায় খুচরা বাজারে। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতায় যেন অভ্যস্ত সাধারণ ক্রোতারা। সময় টিভির অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন বাস্তব চিত্র। লোক দেখানো বাজার তদারকি নয় বরং আইনের সঠিক প্রয়োগে দাম সমন্বয় হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
গেল মৌসুমে চালের বাম্পার ফলনের বিপরীতে চাহিদা কমায়, পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। পাইকারদের হিসেব মতে, রাজ্জাক কোম্পানির নাজিরশাইল ২৫ কেজির বস্তার দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৭৫ টাকায়। অথচ উল্টো চিত্র খুচরা বাজারে। গত সপ্তাহের চেয়ে বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বেশি রাখার অভিযোগ ক্রেতাদের।ক্রেতারা বলেন, গত মাসে কিনছি ১৩শ’ টাকা বস্তা ২৫ কেজি বস্তা। এখন সেটা চাচ্ছে ১৫শ’ টাকা। আগে কিনেছি ৪২ থেকে সাড়ে ৪২, আজ সেটা চাচ্ছে ৪৬ করে। তাহলে দাম বাড়ছে না? মধ্যবিত্তদের অবস্থা খারাপ। এখন তো ইনকাম বেশি নাই।
বিক্রেতাও জানেন দাম কমেছে খুচরা বাজারে। তবে প্রশ্ন ছিল কেনও বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা। নেই যৌক্তিক কোনো উত্তর।
বিক্রেতারা বলেন, আমাদের আগের কেনা। নতুন করে চাল নেই। তাই আগের দামই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন চাল নিয়ে আসলে ওই দামে বিক্রি করতে পারব।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দাম সমন্বয়ে সরকারি এজেন্সিগুলোকে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
অর্থনীতিবিদ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খুচরা পর্যায়ে দামের যে সমন্বয় সেটা যদি তাড়াতাড়ি হয়, তাহলে তা সবার জন্য ভালো। সেক্ষেত্রে সরকারকে, সরকারের যে এজেন্সিগুলো আছে সেগুলোর নজরদারি করতে হবে। তাহলে খুচরা বাজারে চালের দাম সমন্বয় হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, সরকারি গুদামে চাল মজুদ আছে ৯ লাখ টন।