অস্ট্রেলিয়া হতে সন্তানরা ফিরলেই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। সোমবার (০৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মারা গেছেন এই খ্যাতিমান শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
এন্ড্রু কিশোরের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী দুই সন্তান দেশে ফেরার পরই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। সোমবার রাতেই তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়েছে।
এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে সঙ্গা (২৬) ও ছেলে সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। সঙ্গার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু একজন চিকিৎসক। তিনি রাজশাহীতেই বসবাস করেন।
এন্ড্রু কিশোরের পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরলে তাদের বাবার মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরেই থাকবে। শিল্পীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল।
এমন অবস্থায় বেঁচে ওঠার আশা করতে পারছেন না জানিয়ে এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘এখন কিশোর কোনো কথা বলে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। আমি বলি কী ভাব, বলে কিছু না, পুরানো কথা মনে পড়ে আর ঈশ্বরকে বলি আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও, বেশি কষ্ট দিও না।’
লিপিকা লিখেছেন, ‘ক্যানসারের শেষ ধাপে খুব যন্ত্রণাদায়ক। এন্ড্রু কিশোরের জন্য সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করবেন, যেন কম কষ্ট পায় এবং একটু শান্তিতে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে পারে।’
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘আমার মনে হল, কিশোর শুধু আমার বা আমাদের সন্তানের বা আমাদের পরিবারের নয় বরং দেশের মানুষের একটা অংশ বা সম্পদ। তাই এই কথাগুলো দেশের ভক্ত শ্রোতাদের বলা বা জানানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’