বাবার হাতে ছেলে খুন স্ত্রী সহ নিজেও যখম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানকে আহত করে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করেছেন হারেস মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ (১৫) হারেস মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহাগের মা ও হারেস মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন।
এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন।
পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় পাশের ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়।