লকডাউনের পর প্রথম মাঠে দর্শক, নেইমারদের ৯ গোল
অন্যান্য খেলা মাঠে না ফিরলেও করোনা পরবর্তী সময়ে ইতোমধ্যে মাঠে ফিরেছে ফুটবল। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বায়ো সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হচ্ছে লা লিগা, সিরি-আ লিগ। এদিকে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে জার্মান লিগ বুন্দেসলিগা। ফুটবলের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। তবে সবগুলো ইভেন্টই অনুষ্ঠিত হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।
করোনা পরবর্তী সময়ে মেসি-রোনালদোর মাঠে ফেরা হলেও ফরাসি লিগ ওয়ান বন্ধ থাকায় মাঠে ফেরা হয়নি নেইমারের। তবে মাঠে ফেরার সে অপেক্ষা ঘুচেছে রোববার (১২ জুলাই)। যদিও সেটি একটি আনঅফিশিয়াল ম্যাচ ছিল। ফরাসি সরকার কর্তৃক আয়োজিত এক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামে নেইমার-এমবাপেরা।
দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেও নিজেদের পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখেছে নেইমার-এমবাপেরা। দ্বিতীয় বিভাগের দল লে হাভরেকে ৯-০ গোলে হারিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
হ্যাভরের ঘরের মাঠ স্তাদিও ওসিয়েনের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। তবে করোনা স্বাস্থ্যবিধির কারণেই সৌভাগ্যবান পাঁচ হাজার মানুষকে দেয়া হয় মাঠে বসে ম্যাচটি দেখার অনুমতি। যারা কাছ থেকে দেখেছেন হ্যাভরের জালে নেইমার-এমবাপেদের তান্ডবলীলা।
ম্যাচের ফলার ৯-০ হলেও, হ্যাটট্রিক পাননি পিএসজির কোন খেলোয়াড়, গোল করেছেন মোট ৬ জন। জোড়া গোল করেছেন দলের সেরা তারকা নেইমার, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি ও স্প্যানিশ উইঙ্গার পাওলো সারাবিয়া। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন আইভোরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গেয়ে, ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে ও তরুণ তারকা আর্নোদ কালিমুয়েন্দোর।
অবাক করা বিষয় হলো, অন্যান্য সব দেশের আয়োজকরা যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার অপেক্ষা করেছে, সেখানে করোনভাইরাস পরিস্থিতির শুরুর দিকেই তড়িঘড়ি করেই অসম্পূর্ণ অবস্থায়ই লিগ বাতিল করে দিয়েছিল ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন।
যার ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। একইভাবে টেবিলের পরের তিন দলকে বাছাই করা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগে পরের মৌসুমের জন্য। কিন্তু লিগ বাতিলের মাস চারেকের মধ্যেই অন্য সব দেশের আগে মাঠে দর্শক নিয়ে খেলা হলো ফ্রান্সে, যা বিস্ময় জাগিয়েছে সবার মনে।