করোনাকালেই ঘুরে দাঁড়াল চীনের অর্থনীতি
অপ্রত্যাশিত হলেও করোনা মহামারির মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতি। বিশ্বের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশের গেল জুনে বেড়েছে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ। করোনা মুক্তির পথে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা চীনে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো এ মাসে বেড়েছে আমদানিও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দেশটির দেয়া তথ্যে দেখা যায়, গেল জুনে এক বছর আগের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন দেড় শতাংশ কমবে। জুনে দেশটির আমদানি ১০ শতাংশ কমবে বিশ্লেষকদের এমন প্রত্যাশার বিপরীতে ২.৭ শতাংশ বেড়েছে।
চীনের এই ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডাকারফ্রন্টেয়ার'র চীনা বিশ্লেষক বোয়াংজো।
তিনি মনে করেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পর পশ্চিমা দেশগুলোতে লকডাউন তুলে নেয়ার ফলে চাঙ্গাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। এসময়, অনেক পণ্যের চাহিদা তেমন একটা না থাকলেও চীন থেকে পিপিই, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণের রপ্তানি বেড়েছে অনেক।
এটা যেহেতু বৈশ্বিক সমস্যা তাই সবদেশেই বাধার মুখে পড়েছে উৎপাদন ব্যবস্থা। আর চীনের রপ্তানিকারকরা এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে বলে মনে করেন বোয়াংজো।
করোনার কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ৬.৮ শতাংশ সংকুচিত হয়। এরপর শক্ত অবস্থান ফিরে না পেলেও ভঙ্গুর পথেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে গত শনিবার সাংগাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ বলেছে, চীন-মার্কিন বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য ব্যবহারের চাহিদা হুহু করে কমে যাওয়াসহ দীর্ঘমেয়াদে নানা বৈশ্বিক চাপের মধ্যে রয়েছে চীনের অর্থনীতি। তবে, এটা ভালো দিক যে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২য় প্রান্তিকে এসে বাড়তে শুরু করেছে আমদানি-রপ্তানি।