সিফাত-শিপ্রাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র্যাব
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেবে র্যাব।
বুধবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় সিনহার মৃত্যুর বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
র্যাব জানায়, সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে র্যাবের হেফাজতে এনে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এরপর রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ফোনালাপ বেরিয়েছে তাও তদন্তে বিবেচনা করা হবে।
র্যাব জানায়, যারা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া তিনজন সাক্ষীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন প্রমাণ থাকার কারণেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া, গ্রেফতার হওয়া তিনজন সাক্ষীকে র্যাব হেফাজতে এনে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিফাত ও শিপ্রার সঙ্গে র্যাবের যোগাযোগ হয়েছে, তাদেরকে যে কোন সময়ই প্রয়োজন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, সাবেক মেজর সিনা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলায় মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সেই তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
৩১ জুলাই ঘটনার আগে পাহাড় থেকে নামার সময় সিনহাকে ডাকাত বলে প্রচার করেছিলেন তারা। গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন- নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। তাদের বাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া ও মারিশবনিয়া এলাকায়।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরের দিন ৬ আগস্ট বিকালে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তারা কারাবন্দি রয়েছেন। এই হত্যার ঘটনা তদন্ত ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে র্যাব। আর জামিনের রয়েছেন দুই শিক্ষার্থী সিফাত-শিপ্রা।