জি কে শামীমকে নিয়ে যা বলল সিআইডি
ঠিকাদারি করে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’। বিদেশে অর্থ পাচারের বাইরেও দেশে প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের খোঁজ মিলেছে। প্রমাণ মিলেছে বিদেশে অর্থ পাচারেরও। কিন্তু এখনো টাকা পাচারের কোনো হদিস বের করতে পারেনি সিআইডি। দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক। এরই মধ্যে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।
আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা। ৭ দেহরক্ষী নিয়ে চলতেন রাজার হালে। গেলো বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন র্যাবের অভিযানে। তখন মাদক, অস্ত্রসহ জব্দ করা হয় দুই কোটি টাকা। মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি। বেরিয়ে আসতে থাকে থলের বিড়াল। এ যেন রূপকথার গল্প।
অভিযোগপত্রে দেখা যায়, জিকে শামীম ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮০টি অ্যাকাউন্ট খোলেন। লেনদেন করেন প্রায় ৬ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগই ২০১৮ ও ১৯ সালে। ১৮০ অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ পায় সিআইডি। ঢাকায় দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমি। যার বাজারমূল্য ৪১ কোটি টাকা। সিআইডি বলছে, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারেরও প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
সিআইডি অগানাইজ বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, এজাহারে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল সেটি তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছি। আশা করি, অভিযোগগুলো আদালতে প্রমাণিত হবে।
সিআইডি বলছে, আসামিরা প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতো। টেন্ডারবাজি আর কাজ পাইয়ে দিয়ে নিতো রয়্যালিটি ফি। গরুর হাট ও বাস টার্মিনালেও চাঁদাবাজি করতেন জি কে শামীম।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর, সর্বনিম্ন ৪। সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন জিকে শামীম।