বেনাপোলে নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে লাশ হলো কিশোর
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।
নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইকরামুল ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোর এর লাশ ৭ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার ৭ ঘন্টা পর খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা – ঘিবা জোড়া ব্রিজের নীচে কোদলা নদীতে। শনিবার বেলা ১ টার সময় কোদলা নদীতে তিন বন্ধু সাঁতার কাটতে যেয়ে ইকরামুল হারিয়ে যায়।
ইকরামুল ধ্যান্যখোলা দক্ষিনপাড়া গ্রামের ইমামুলের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, ইকরামুল, রনি ও হাবিবুল্লাহ কোদলা নদীর ব্রীজ থেকে লাফিয়ে সাঁতার কেটে দক্ষিন দিকে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় রনি ও হাবিবুল্লাহ ব্রীজের উপর উঠলেও ইকরামুল উঠতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে রনি বলে আমরা একসাথে সাঁতার কেটে আসছিলাম। ব্রীজের কাছে এসে ইকরামুল হারিয়ে যায় ।
তাকে আমরা দেখতে না পেয়ে খুজাখুজি করে গ্রামের লোকজনদের খবর দেই। এরপর গ্রামের লোকজন এসে চেষ্টা করে তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। আজিজুল নামে ঘিবা গ্রামের এক যুবক বলে আমরা হারিয়ে যাওয়া কিশোরকে উদ্ধার করতে না পেরে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে খবর দেই। বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রধান তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, আমরা ৬ জন বেনাপোল ইউনিট থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়। সামান্য স্রোত ও আছে নদীতে। খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে সন্ধ্যা ৭ টার সময় ইকরামুলের লাশটি উদ্ধার করেছে।
এদিকে কোদলা নদীর দুপারে কয়েক হাজার নারী পুরুষ উদ্ধার কাজ দেখার জন্য ভীড় জমিয়েছিলো। অপরদিকে স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ইকরামুলের মায়ের একটি আর্তনাত আমার ছেলেকে এনে দেও। এ ব্যপারে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে ফোন করলে তিনি বলেন সন্ধ্যা হয়ে গেছে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে কি করব।
নৌকা ম্যানেজ করে দিয়ে কিশোরকে উদ্ধারের সাহায্য করতে পারেন একথা বলার পর তিনি ফোন কেটে দেন। বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম বিল্লাহ ঘটনাসস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ থানায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন না এটা ওসি স্যার বলেছে লাশ স্বজনদের কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য।