আলোচিত জিসা মনি অপহরন মামলায় কথিত প্রেমিকসহ সহযোগীর জামিন না মঞ্জুর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত জিসা মনিকে অপহরণ মামলায় কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী রকিবের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত।
৩১ আগস্ট (রোববার ) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাওসার আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মো.রোকন উদ্দিন এ সময় বলেন, রোববার আমরা বিজ্ঞ আদালতে ১ ও ২ নং আসামী আব্দুল্লাহ ও রাকিবের জামিন চেয়েছিলাম। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেছে এবং জিসা মনির কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড না মঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে পূর্ববতী ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি আসামীরা প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাব দিলে আদালত তা মঞ্জুর করে নথিভুক্ত করার জন্য আদেশ দিয়েছে। যেহেতু আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আমরা জজকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করবো।
প্রসঙ্গত, চলতি বরছরের গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী জিসা মনি (১৫) নিখোঁজ হয়। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিল নগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। ওই দিনই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনায় দুইদিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)।
অপরদিকে গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রী জিসা মনিকে। এ ঘটনায় জেলাজুরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
স্কুল ছাত্রী জিসা মনি অপহরন মামলায় সদর মডেল থানার অফিসার ইনচর্জ মোঃ আসাদুজ্জামান ও মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক আব্দুল হাইকে আদালতে তলব করা হয়েছে৷ জিসা মনি বেঁচে থাকলেও তিন আসামি কেন ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জবানবন্দি দিয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত৷