ভাগ্য খুলছে সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর!
চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার হচ্ছে না এইচএসসি পরীক্ষা। এর বদলে শিক্ষার্থীদের জেএসসি, জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফলে গত কপাল খুলছে গত বছর যারা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন তাদের।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে অনলাইনে এক ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গতবার যারা ফেল করেছে, তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
আরো পড়ুনঃ পরীক্ষা নেয়া অসম্ভব, তাই অটোপ্রমোশন: প্রধানমন্ত্রী
২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। সেই হিসেবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার পরীক্ষা দিয়েই পাচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ।
এইচএসসিতে দুই বিষয়ে (সর্বোচ্চ চার পত্র) ফেল করলে পরের বছর শুধু ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে একজন শিক্ষার্থীকে সাতটি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসতে হয়। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড় করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাভাইরাস কবে যাবে সেটি আমরা কেউ জানি না। এ পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।
আরো পড়ুনঃ জেএসসি-এসএসসিতে খারাপ করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে কোন জটিলতার শিকার হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই ফল তাদের পূর্বতন পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের নিয়মে পরীক্ষা আয়োজন করবে। সেখানে কোনো বাধা আসবে না। এমনকি বাইরের দেশগুলোতে পড়তে গেলেও শিক্ষার্থীদের কোনো জটিলতায় পড়তে হবে না বলেও জানান দীপু মনি।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।