শ্রীপুরে পূজামন্ডপে কমিটির সদস্যকে লাঞ্চিত করলেন আওয়ামীলীগ নেতা
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাওরাইদ ইউনিয়নের একটি পূজা মন্ডপে আমন্ত্রণ ও উপস্থিত হওয়ার পর আপ্যায়ন না করায় আয়োজক কমিটির সদস্যকে লাঞ্চিত ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন ফকিরের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের অনিল দাসের বাড়ি পূজা মন্ডপে এঘটনা ঘটে।
পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি ভুবেন চন্দ্র দাস জানান, পূজার দাওয়াত কার্ড নিয়ে একাধিকবার কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ
সম্পাদক মো. হারুন ফকিরের বাড়িতে গেলেও তিনি বাড়িতে না থাকায় তাকে দাওয়াত কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার রাত তিনটার দিকে হারুন ফকির চার-পাঁচজন লোক নিয়ে মন্ডপে যান। এসময় তিনি উপস্থিত মন্ডপ কমিটির সদস্য অনিল চন্দ্র দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে এগিয়ে যান এবং তাকে ঘাড় ধরে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ করেন অনিল।
অনিল চন্দ্র দাস বলেন, হারুন ফকির আমাকে ঘাড়ে ধাক্কা দেন। তিনি যখন আমাকে ধাক্কা দেন তখন আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করচ্ছিল।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারুন ফকির যখন পূজারীদের গালিগালাজ করছিলেন তখন মন্ডপের আশপাশে এক প্রকার
আতংকের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তার গন্ডগোলের ভিডিও ধারণ করায় এক অটো চালকের মুঠোফোনও ভেঙ্গে দেন হারুন ফকিরের সাথে থাকা লোকজন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন ফকির জানান, আমি যে গাড়িতে ওখানে গিয়েছিলাম ওখানে থাকা কিছু যুবক আমার গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে
ফেলে। এনিয়ে আমার গাড়ির চালকের সাথে বাকবিতন্ডা হলে আমি বুঝিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। এখন ঘটনাটিকে পুঁজি করে তাঁর
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ধরনের কথা রটাচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনকে দাওয়াত না দেয়া এবং তাকে আপ্যায়ন না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে গালিগালাজ কিংবা গলায় ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কিংবা এ ব্যাপারে কেউ আমার কাছে অভিযোগও করেননি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা মোস্তারী জানান, দাওয়াত দেয়া নিয়ে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে তার অবসানও
হয়েছে। এ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই ওই মন্ডপে পূজা হচ্ছে। তারপরও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।