টঙ্গীতে ১০মাস পর উন্মোচিত হলো গৃহকর্মী আত্মহত্যার মূল রহস্য।
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
প্রায় ১০মাস আগে টঙ্গীর আরিচপূর এলাকায় গৃহকর্মী নুরনাহার (১৮) আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরদিন সকালে গৃহকর্তা নিহতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করলে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জের মেয়ে নুরনাহার টঙ্গীর আরিচপুর এলকার একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। একই এলাকার খাবারের হোটেলে বাবুর্চীর কাজ করতো হাবিবুর রহমান হাবিব(২২)।হোটেল ও বাসা পাশাপাশি থাকায় নুরনাহার ও হাবিবের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। হাবিব বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় তার সাথে। ঘটনার দিন সকালেও নূরনাহারের সাথে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা ঘটে এবং সন্ধ্যায় নিহত নূরনাহারের সাথে হাবিবের মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়।হাবিব ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এঘটনার পরেই নুরনাহার আত্মহত্যা করেন।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান,আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে রুমের দরজা ভেঙে নিহত নূরনাহার কে গলায় উরনা পেচানো অবস্থায় উদ্ধার করে মৃতদেহের সুরতহাল রিপাের্ট প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছিলেন। মায়নাতদন্তে রিপাের্ট হাতে পেয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভিকটিম নুরুন্নাহার বেগম (১৮) যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ সাংবাদিকদের জানান,ঘটনার পর আমরা কিছু আলামত সংগ্রহ করি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত গৃহকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী নিহত নূরনাহারে প্রেমিককে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার পুড়াইখলা গ্রামের তার নিজবাড়ি থেকে আটক করি এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা ও গালিগালাজ বিয়ে করতে না চাওয়ার বিষয়গুলো শিকার করেন। আটকৃত হাবিব হবিগঞ্জের জেলার মাধবপুর থানার পুড়াইখলা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।