টঙ্গীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু , আটক ৩
বি এ রায়হান,গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া এলাকায় মানসুরা আক্তার(২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
নিহত আঞ্জুরা নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার জাগির গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের পিতা মোসলেম উদ্দিন জানান, প্রায় ১১ মাস পূর্বে একই থানা এলাকার কমল ফকিরের ছেলে এরশাদ হোসেন নয়নের সাথে বিয়ে হয় আঞ্জুরার। বিয়ের পর থেকে মরকুন মধ্যপাড়া শাজাহান ফকিরের বাড়িতে ভাড়া বাসায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে বাস করতো সে। বেশ কিছুদিন ধরে আঞ্জুরার স্বামী তার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। তার বাবা দিনমজুর বিধায় সে টাকা এনে দিতে অপারগতা জানায়। এতে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন তার ওপর মানুষিক ও শারিরীক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। গত তিন চার দিন আগে যথারিতি স্বামী নয়ন আঞ্জুরার বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এনে দেয়ার কথা বলে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। বিয়য়টি সে তার মাকে মুঠোফোনে বলে যে, আমার সুখ চাইলে তাড়াতাড়ি ২০ হাজার টাকা পাঠাও অন্যথায় ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।
ওই রাতেই গৃহবধু মানসুরার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার মেয়েকে ওরা সবাই মিলে মেরে ফেলেছে। আমি একজন অসহায় বাবা হিসেবে আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
টঙ্গী পূর্ব এস আই জুলহাস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি খাটের উপর শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করি। নিহতের গলার ডানপাশে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নয়ন (২৪), দেবর আরশাদ (২২) ও ননদ সোলেমাকে (২৬) আটক করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনকে থানায় এনে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।