এইচএসসি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার হতে পারে
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার আগেই ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বছরের শেষভাগে এসে জানানো হয়, এবার মহামাররি মধ্যে আর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না; পরীক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
অবশেষে জানা গেল আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতে। চলতি সপ্তাহের ৫ অথবা ৬ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই সূত্র জানায়, বিশেষ পরিস্থিতিতে রেজাল্ট প্রকাশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি করতে হয়। আগামী সোমবার ( ৪ জানুয়ারি) মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি উত্থাপিত হবে। সেখান থেকে নথিপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। ৫ অথবা ৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন। তখন এইচএসসির ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় পেলে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ফল প্রকাশ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এইচএসসির গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট প্রস্তুত আছে। তবে অধ্যাদেশ জারি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে রেজাল্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। অধ্যাদেশ জারির পরই রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি আগামী বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মহোদয় অধ্যাদেশ জারি করবেন। এরপর আমরা রেজাল্ট প্রকাশ করবো’’। আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রেজাল্ট প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অধ্যাদেশ জারির পর ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকবে না। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সময় দেন তাহলে ফল প্রকাশ হতে পারে।’’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশ করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। অধ্যাদেশ জারির পর ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে সেটি বাতিল করা হয়। শিক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার (জেএসসি এবং এসএসসি) ফলাফল গড় করে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষিত হবে।