‘২০৩৫ সালে বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ’
স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে, দারিদ্রের হার কমানো, আরো কর্মসংস্থান তৈরি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখাই সরকারের মূল্য লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে অর্থনৈতিক কুটনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এতে প্রাধান্য দেয়া হবে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত প্রযুক্তির বিনিময়, নতুন নতুন শ্রমবাজার খোঁজার বিষয়কে।
৫ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনের ভার্চুয়াল বিজনেস কনক্লেভে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ মোট ১০টি দেশ। এ অয়োজনকে করোনা মহামারির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত একদশকে দারিদ্র দূরীকরণ আর উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অর্জনে আশাতীত সফলতা এসেছে। করোনাকালেও জিডিপির হারে বিশ্বের তৃতীয় আর এশিয়ার প্রথম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতির দেশ। আর এলডিসি থেকে ২০২৪ এ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া একমাত্র দেশ যা ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে গতি ধরে রেখেছে। করোনা মহামারিতেও রেমিটেন্সে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। সারাদেশে গড়ে ওঠা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে।
বিডার চেয়ারম্যান মনে করেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নানামুখী নীতি সহায়তা দিচ্ছে। বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস-ওএসএস এ ৪১ টি সেবা যুক্ত হয়েছে। সামনে আরো অনেক সেবা সংস্থা যুক্ত হবে এখানে। ডিসিসিআই কনক্লেভে যুক্ত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগে বাংলাদেশকে বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় ডিসিসিআইএর সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নানামুখি উদ্যোগের সুফল পাওয়া গেছে। তারপরও মহামারির দীর্ঘমেয়াদি অভিঘাত থাকবে।
তার মতে, অনেক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হতে পারে। বাড়তে পারে বেকারত্বও। এসব বিবেচনায় রেখে সরকারি নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ডিসিসিআই আয়োজিত বিজনেস কনক্লেভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সংগঠনটির সভাপতি রিজওয়ান রহমান। অংশ নেন সাবেক সভাপতি সবুর খান, শামস মাহমুদ, আসিফ ইব্রাহীমসহ বর্তমান কমিটির নেতরা।