‘দেশেই তৈরি হবে কৃষিজ মেশিন’
২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, এসডিজি অর্জন করতে হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন মাঠপর্যায়ে দক্ষ কৃষক বা কৃষিসংশ্লিষ্টদের দক্ষ করে গড়ে তোলা, একই সঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে এগিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণের পথে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে বেল মনে করে কৃষি বিভাগ।
বর্তমানে দেশে পাওয়ার টিলার, মাহেন্দ্র ট্রাকটরসহ কমবাইন্ডার হারভেস্ট ব্যবহার শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় কৃষিজ নানা ধরনের মেশিন। তবে এখনো দেশে সেভাবে কৃষিসংশ্লিষ্ট বড় বড় মেশিন তৈরি করতে পারেনি সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স হলে এক সেমিনারে এ কথা জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রকৌশলীদের আরও দক্ষতা ও জবাবদিহির সঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে আমদানি নয়, দেশেই আমরা আধুনিক সব মেশিন উৎপাদন করতে পারি। এ ক্ষেত্রে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে অংশবদ্ধ করাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি। উৎপাদন শুধু নয় বিভিন্ন প্রক্রিয়াতেও যেতে হবে। কৃষির উন্নয়ন আরও সমৃদ্ধির জন্য প্রকৌশলীকে দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আগামী দিনে কৃষির উন্নয়নে উৎপাদন ব্যয় কমানো, সময় সীমিতকরণ, অপচয় রোধ করতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর প্রধানদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কৃষিবিদদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৃষি প্রকৌশল নেতারা। তারা বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে কৃষি বিভাগের প্রতিটি দফতরে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। অকৃষিবিদদের কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন বন্ধ না করলে অনেক কিছুই পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করেন প্রকৌশল নেতারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বিএডিসির প্রকৌশলীসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কৃষিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।