করোনায় নাজেহাল যুক্তরাজ্য
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। এ অবস্থায় ব্রিটেনবাসীকে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ বাড়ায় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
লন্ডনের রাস্তায় এখন সুনসান নীরবতা, লোকজন কিংবা যানবাহন কোনোটিই খুব একটা চোখে পড়ে না। করোনায় চলমান লকডাউনে এমন চিত্র যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ শহরেই। নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন, যা সবার দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংক্রমণ বাড়ায় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ঠান্ডার কারণে করোনা ছাড়াও সর্দি-কাশি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যাও কম নয়। অনেক হাসপাতালেই রোগীর তুলনায় শয্যাসংখ্যা কম হওয়ায় মুশকিলে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
এক হাসপাতাল কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে লম্বা লাইন থাকে, এদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত থাকেন, যার করোনা হয়নি অন্য সমস্যা নিয়ে এসেছেন তিনিও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন। আর হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব মেনে রোগীদের বিছানাগুলো রাখার কারণে শয্যা সংখ্যাও কমে গেছে। এ অবস্থায় আসলেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
এ পরিস্থিতিতে সবাইকে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার থেকে আবারও লকডাউনে যাওয়ার পর শনিবার দেশজুড়ে সচেতনতা জোরদারে প্রচারণা শুরু করেছে ব্রিটিশ সরকার। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পার্কে বন্ধু বা পরিবারের সদস্য দুজনের বেশি একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে যাওয়া যাবে না নির্দেশনা থাকলেও অনেকেই তা না মানায় সরকার থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে নিয়ম মানার।
এদিকে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শনিবার তারা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে দশ লাখের বেশি মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন।