জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন
জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন। এ ধরনের একটি অ্যাপের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন পাওয়ার পর তা বিতরণ বিশৃঙ্খলা হবে না বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ডজনখানেক দেশে গত ডিসেম্বরেই অনুমোদন পায় ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন। আর নতুন বছরের প্রথম দিন প্রথম কোনো টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের বৈধতা পায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। গবেষণায় দাবি, করোনা প্রতিরোধে এ টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
এবার সে টিকা পাওয়ার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থা সিইপিআই'র নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে করোনার টিকা নিতে রাজি থাকলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মোট জনসংখ্যার দশমিক ৪ শতাংশের জন্য ফাইজারের টিকা পাবে বাংলাদেশ। যা প্রয়োগ করতে হবে ফ্রন্টলাইনারদের ওপর।
তবে ফাইজারের এ টিকা পাওয়া গেলেও মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার কারণে এটি সংরক্ষণ ও বিতরণই মূল চ্যালেঞ্জ। তাই জরুরি ভিত্তিতে সে অবকাঠামো গড়ে তোলার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে হলে নিবন্ধন করতে হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। যেখানে দিতে হবে নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র, অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কিনা, সে তথ্য দিতে হবে। টিকা গ্রহণের তথ্যও সংরক্ষণ থাকবে অ্যাপে।
প্রাথমিকভাবে ১৮ বছরের নিচে কাউকে করোনা টিকা দেওয়া হবে না বলে জানাচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা।