ইরানে সামরিক হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি ইসরাইলের
ইসরাইলি সেনা প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা সতেজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে ফিরে যাওয়া ‘ভুল’ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন লেফটেনেন্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি। জো বাইডেন ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার আভাসের পরই ইসরাইলি সেনা প্রধানের হুঁশিয়ারি এলো।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি হয় প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসনের আমলে। পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ওই চুক্তিকে ভুয়া অ্যাখা দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। তখন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তি থেকে সরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
তবে ট্রাম্পের জায়গায় এখন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শপথ নেয়ার আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়া। অথবা চুক্তিটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করা।
বাইডেন প্রশাসন এখন ঐতিহাসিক চুক্তিতে ফিরে যাবে এমন খবর চাওর হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জানিয়েছে, পরমাণু চুক্তিতে ফিরে গেলে তেহরান তেল আবিবের হামলার মুখোমুখি হবে। এই প্রথম ইরানকে কড়া ভাষায় হুমকি দিতে দেখা গেল দেশটিকে।
চুক্তিতে ফেরা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনও অনেক দূরে রয়েছে বলে জানান বাইডেনের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনি বলেন, চুক্তি মেনে চলার ক্ষেত্রে ইরান সত্যিকার অর্থে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে ওয়াশিংটন ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে গেলে তেহরানও আর কথা রাখেনি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের যে বিধিনিষেধ ছিল তা থেকে সরে এসেছে অনেক আগেই। ইতিমধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হচ্ছে দেশটিকে।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের জেরে ইসরাইলি সেনাপ্রধান বলেন, ইরানের এ পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত বলে দিচ্ছে, তারা দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের দিকে এগোচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আমি বেশ কিছু প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছি। আগে যে প্রস্তুতি আছে, তার সঙ্গে নতুন বিষয়গুলো যুক্ত হচ্ছে।