আমদানির বদলে দেশেই তৈরি হচ্ছে মোটরসাইকেল
ব্যবহার সহজ ও জ্বালানি খরচ কম মোটরসাইকেলে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মোটরসাইকেল হয়ে উঠেছে আয়ের মাধ্যম। যার ফলে এই চাহিদাকে পুঁজি করে দেশে শিল্পকারখানা গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্কহার ১৫২ শতাংশ, অথচ দেশে সংযোজন করলে তা ২৮ শতাংশ।
আমদানি আর তৈরির মাঝখানে শুল্ক হারের বিশাল ব্যবধান বড় ভূমিকা রেখেছে মোটরসাইকেল শিল্পের উন্নয়নে। যদিও অগ্রগতি ধরে রাখতে সহজে ব্যাংকঋণ, ও সহযোগী শিল্পের উন্নয়ন দরকার বলেও মনে করেন শিল্প মালিকরা।
দেশের একটি মোটরসাইকেল কোম্পানীর কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, উন্নতমানের এমএস শিট মডেল অনুযায়ী কাটা হচ্ছে অবিরামভাবে। ইঞ্জিন বাদে খন্ডিত এসব শীটের একেকটি অংশ দিয়েই তৈরি হচ্ছে পুরো ফুয়েল ট্যাংক, মার্ডগার্ড কিংবা ফ্রেম বডির বিভিন্ন অংশ। প্রাথমিক কাজ শেষ এসব যন্ত্রাংশ আবার পাঠানো হচ্ছে ওয়েল্ডিং শাখায়।
যেখানে গিয়ে প্রতিটি যন্ত্রাংশে প্রয়োজনীয় কাঁটছাট, হচ্ছে সংযোজন। কর্মীরা জানান, ওয়েল্ডিং শপে ফুয়েল ট্যাংক, মেইন স্ট্যান্ড, রিয়ার ফ্রগ, ফুটপ্যাক, রিয়ার ফ্রগ'সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। গুণগত মানও পরীক্ষা করা হয় এই শাখায়। এরপর পেইন্টিং শাখা হয়ে যন্ত্রাংশগুলো চলে যায় সংযোজন শাখায়। যেখানে পূনাঙ্গ রুপ পায় প্রতিটি মোটরসাইকেল। এরপর পেইন্টিং শাখা হয়ে যন্ত্রাংশগুলো চলে যায় সংযোজন শাখায়। যেখানে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় প্রতিটি মোটরসাইকেল।
ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানা স্থাপন করে ইঞ্জিনের কিছু অংশ ছাড়া মোটরসাইকেলের ৮০ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রাংশ তৈরি করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান রানার। সরকারের শুল্কছাড়ের সুযোগ নিতে রানার ছাড়াও ভারতের বাজাজ, টিভিএস ও হিরো, জাপানের হোন্ডা, সুজুকি ও ইয়ামাহাও বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করেছে।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, 'একটা মোটরসাইকেলে প্রায় ৫ শতাধিক যন্ত্রাংশ আছে। সব যন্ত্রাংশ আমাদের দেশে তৈরি হয় না। কিছু যন্ত্রাংশ বাইরের দেশ থেকে আনতে হয়।'
বর্তমানে দৈনিক ২০-২৫টি মডেলের ৫০০ মোটরসাইকেল তৈরি করছে রানার। বাজাজ, টিভিএস, হিরো, হোন্ডা, সুজুকি ইয়ামাহার পর সংযোজনের অপেক্ষায় বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড কেটিএম।