মার্কিন সিনেটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সরে দাঁড়িয়েছে তার আইনজীবী
মার্কিন সিনেটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সরে দাঁড়িয়েছে তার আইনজীবী প্যানেল। এখন তার পক্ষে আইনজীবী না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অভিশংসন ঠেকাতে এই প্যানেলটি ট্রাম্পের হয়ে সর্বোচ্চ লড়াই করার কথা ছিল। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আইনি কৌশলসহ নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরেই পাঁচ সদস্যের ওই প্যানেলটি সরে দাঁড়ায়। অন্যান্য মার্কিন গণমাধ্যমে, প্যানেলের দু'পক্ষের মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে সমন্বয়হীনতার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা উপদেষ্টা জেইসন মিলার সিএনএনকে জানান, দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়া একজন প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার ডেমোক্র্যাট উদ্যোগ পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও দেশের জন্য খুবই লজ্জাজনক খারাপ। ৪৫ সিনেটর ভোট দিয়েও জানিয়েছেন, এটি পুরোপুরি অসাংবিধানিক। আমরা অনেক কাজ গুছিয়ে রেখেছি, কিন্তু আমাদের আইনি টিমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, অল্প সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা চলছে।
ট্রাম্পের আইনজীবী প্যানেলে এমন গণ্ডগোলে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অভিশংসনে লড়াইয়ে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর বেরিয়েছে।
ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে নিজের দাবি অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচনে চুরি হয়েছে উল্লেখ করে অভিশংসন আদালতে যুক্তিতর্ক করতে আইনজীবীদের চাপ দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে।
বাচ ব্রাওয়ার ও ডেবোরাহ বারবিয়ার নামের দুই শীর্ষ আইনজীবী অভিশংসন আদালতে ট্রাম্পের পক্ষে থাকবেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই দুই আইনজীবীই এখন আর ট্রাম্পের পক্ষে নেই। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই আইনজীবীদের সঙ্গে ট্রাম্পের এমন বিচ্ছেদ ঘটেছে। প্রধান আইনজীবী হিসেবে বাচ ব্রাওয়ারই অভিশংসন আদালত মোকাবিলার জন্য ট্রাম্পের আইনজীবী দল গঠন করছিলেন।
ট্রাম্পের শেষ সময়ের সহযোগী রুডি জুলিয়ানি জানিয়েছেন, তিনি মামলায় আইনজীবী হিসেবে থাকছেন না। জুলিয়ানি নিজে বলেছেন, তাকে সাক্ষী হিসেবে মামলায় ডাকা হতে পারে। ট্রাম্পের ভুয়া মামলা নিয়ে দৌড়ঝাঁপের জন্য দিনে ২০ হাজার ডলার ফি দাবি করেছিলেন জুলিয়ানি। এ ঘটনায় ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়।
১৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের সশস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হন। এ হামলায় উসকানিদাতা হিসেবে ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়েছে। এ কারণে ১৩ জানুয়ারি তাকে মার্কিন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন। এবার সিনেটে দ্বিতীয় দফায় বিচারের মুখোমুখি ট্রাম্প।