আল-জাজিরার প্রতিবেদন সাজানো চিত্রনাট্য: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার মেন’ শিরোনামে সম্প্রতি কাতারভিত্তিক ‘আল জাজিরা’ চ্যানেলে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনকে মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো চিত্রনাট্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
কে এম খালিদ বলেন, আল-জাজিরার প্রতিবেদনের পেছনে সরকারবিরোধী একটি অশুভ চক্র জড়িত, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণেরও বিরোধিতা করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপ ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে পদ্মা সেতু আজ বিশ্ববাসীর সামনে দৃশ্যমান। এ অপচক্রের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন কে এম খালিদ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ উন্নতমানের টিকা। অথচ বিএনপিসহ একটি বিশেষ মহল টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এসব অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জনগণকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ জানান কে এম খালিদ।
এর আগে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের জ্ঞানমনস্ক, প্রজ্ঞাবান, উন্নত-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার ৬৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গণগ্রন্থাগার অধিদফতরে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে গ্রন্থাগার সেবার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের জন্য ১১ তলাবিশিষ্ট সমন্বিত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের এক হাজার গণগ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপনের কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধুর পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অনলাইনে বই সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ বারের মতো উদযাপিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার’ যা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। জ্ঞানমনস্ক আলোকিত জাতি গঠন ও জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক, পরিচালক (লাইব্রেরি, উন্নয়ন ও আইসিটি) এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী ও পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।