কারস্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত হচ্ছে না ? ফের জয়দেবপুর বাজারে ফুটপাত দখল করে বসেছে কাঁচা বাজার
গাজীপুর প্রতিনিধি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা আওতাধীন জয়দেবপুর বাজারে অধিকাংশ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। এতে পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে,বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও গত মাস দেড়েক পূর্বে সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি করে জয়দেবপুর কাঁচা বাজার ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে এখন তা উল্টো, ফের ফুটপাতে অবৈধ কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসিয়ে একশ্রেণীর চাঁদাবাজদের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পথচারীরা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদাবাজরা কি আইনের ঊর্ধ্বে,
নাকি অন্য কারোস্বার্থে ফুটপাত দখল করে বসেছে জয়দেবপুর কাঁচাবাজার? কারস্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত হচ্ছে না?
সরেজমিনে সদর থানা আওতাধীন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ছোট খাট যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছেন এর মধ্যে অধিকাংশ দোকানই দাঁড়িয়ে আছে ফুটপাত দখল করে।
সরেজমিনে জয়দেবপুর বাজারের সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানদার সামনের ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কেউ বেঞ্চ বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাতের ওপর রেখে দখল বজায় রেখেছেন। ফুটপাত দখল করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ভাই আমরা গরিব ও অসহায় মানুষ আমাদের এতো টাকা নাই যে কোন মার্কেটে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করবো তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাতে ব্যবসা বানিজ্য করে কোন রকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিন পাড় করছি। তবে তাঁরা স্বীকার করেন, এভাবে ফুটপাত আটকে রাখাটা তাঁদের ঠিক হচ্ছে না। ফুটপাতের দোকানিরা বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ যখন তাঁদের সরে যেতে বলে তখনই তাঁরা সরে যান। তারপর আবার বসেন। জীবিকার তাগিদেই এ কাজ করেন বলে জানান এই বিক্রেতারা।
জানা গেছে,২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন নেতা পরিচয়দানকারী কেরামত হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ এ সিন্ডিকেট চালিয়ে আসছে। মহানগরে সদর থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যোগদান করেই জয়দেবপুর বাজার ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত করেছিলেন, কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলয় আবার তা দখল হয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন নিরব ভুমিকায় থাকায় জনসাধারন মনে নানা প্রশ্ন।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে ফুটপাতে কাঁচা বাজার বসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছি। উচ্ছেদ করার পর আবার তা দখল হয়ে যাচ্ছে।