নতুন মাইলফলক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বাংলাদেশের
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন মাইলফলক বাংলাদেশের। যার পেছনে বিদেশের মাটিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাওয়া প্রবাসীরা শেষ বয়সে ‘প্রবাসী ভাতা’ চালুর দাবি জানিয়েছেন।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রবাসে থাকা কোটি বাংলাদেশির হাড়ভাঙা শ্রমের বিনিময়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কঠোর পরিশ্রম আর সততার মাধ্যমে নিজ দেশের উন্নয়নে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠালেও অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত থাকেন প্রবাসীরা।
রেমিটেন্সে বাংলাদেশের এ রেকর্ড অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। দেশের এমন অর্জনে অবদান রাখায় বিদেশের মাটিতে কর্মজীবন শেষে দেশে ফিরে অবসরকালীন প্রবাসী ভাতা চান সৌদি প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। যেটি ছিল যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।