শেরপুরের নকলায় সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
হারুনুর রশিদ শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে মুঞ্জু মিয়া (৩২) নামের এক সাঁজা প্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে। শহরের জোড়া ব্রীজপাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার জালালপুর এলাকার সাফের আলীর পুত্র।পুলিশ জানায়, অর্থ আত্মসাৎ মামলায় শেরপুর বিজ্ঞ আদালতকে মুঞ্জু মিয়াকে ৬ মাসের সাঁজার আদেশ দেয়। আদেশের পর থেকেই সে পলাতক ছিলেন।
নকলা থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) রতন চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের উত্তর বাজার জোড়া ব্রীজপাড় এলাকা থেকে মুঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতার করেন। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুঞ্জু মিয়াকে দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
শেরপুরের নকলায় লকডাউন না মানায় ৭ পরিবহন ও ১০ দোকানদারকে জরিমানা হারুনুর রশিদ শেরপুর প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে লকডাউন শুরু হলেও শেরপুরে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের ভিড় দেখা গেছে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলার রাস্তাঘাটে ও দোকানপাটে। গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী অসংখ্য যাত্রী।
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই। লকডাউন কার্যকর করতে রোববার থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছেন। মাঠে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের কড়া নজরদারি।
লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ৪ দোকানদারসহ মাস্ক না পড়ায় একজনকে ৩২শ টাকা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাওছার আহম্মেদ ৬ দোকানদারকে ২২শ টাকা জরিমানা করেছেন। ট্রাফিক বিভাগও ৬টি বাস ও একটি মাইক্রোবাসকে জরিমানা করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে জনসমাগমও দেখা গেছে। জেলা এবং উপজেলা শহর সর্বত্রই চিত্রটা প্রায় একইরকম।