গাজীপুরে শিশুসহ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
বি এ রায়হান, গাজীপুর: গাজীপুরে মঙ্গলবার অপহৃত সাড় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর মা বরিশালের উজিরপুর থানার জামিরবাড়ি এলাকার ঝুমুর বিশ্বাস বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত সিরাজ (২২), ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার মানিকদি পশ্চিমপাড়া এলাকার মােঃ বাবুলের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামি কুমিল্লার মুরাদনগরের শুশুন্ডা এলাকার মােঃ মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৬) পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর সাড় ৩টায় এ ব্যাপার বাসন থানার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদসম্মলনে ওই তথ্য জানানাে হয়েছে। সংবাদসম্মলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মােঃ জাকির হােসেন, সহকারি কমিশনার থােয়াই অংপ্রু মারমা, বাসন থানার ওসি মাহাম্মদ কামরুল ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মােঃ জাকির হােসেন জানান, বরিশালের উজিরপুর থানার জামিরবাড়ি এলাকার ঝুমুর বিশ্বাস (২৫) গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকার আব্দুল খালকের বাড়িতে স্ব-পরিবারে বসবাস করেন। গত ৩ এপ্রিল তাদের পাশের কক্ষে ভাড়ায় উঠে রহমত উল্লাহ। সে সুবাদে ঝুমুর দম্পতির সাথে তার পরিচয় হয়। মাঝ মধ্যই রহমত উল্ল্যাহ ঝুমুর বিশ্বাসের শিশুকণ্যাকে কােল নিতাে, আদর করতাে। গত ২৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিক রহমত উল্লাহ ও সিরাজ মিলে ঝুমুর বিশ্বাসের শিশু কণ্যাকে পাশের দােকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। প্রায় এক ঘটা পরও মেয়েকে নিয়ে তারা বাসায় ফিরনি। পরে, তার মা ও স্বজনরা দােকানের সামনে ও আশপাশের এলাকায় খােঁজাখুজি করেও শিশুকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায় দুপুর অনুমান দেড়টার সময় আসামীরা বাদীর স্বামীর মােবাইল ফােনে ফােন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই টাকা না দিল তাদের মেয়েকে হত্যার ও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। পরে মেয়ের জীবন রক্ষায় অপহরণকারীদের সরবরাহ করা একটি বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠায়। ওই টাকা পাঠানাের পরও তারা আরা টাকা দাবি করলে মেয়ের বাবা পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করেন। পরে বাসন থানা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্নস্থানে রাতভর অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপহরণকৃত শিশুকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মূলহােতা আসামী সিরাজকে (২২) বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। বাসন থানার ওসি মাহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, পরে শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার সিরাজকে জেল হাজতে পাঠানাে হয়েছে।