প্রথমবার সার্বিয়ায় গেলেন বাংলাদেশি শ্রমিক
প্রথমবার সার্বিয়ায় গেলেন একদল বাংলাদেশি শ্রমিক। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলো বাংলাদেশের। শনিবার (১২ জুন) ভোরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রথম দফায় ৯ জনকে পাঠানো হয়। দারিদ্যমোচনে কাজ করার পাশাশাশি দেশ ও পরিবারের জন্য সুনাম বয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। বিদেশে গিয়ে ভালো উপার্জন করতে হলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার পরামর্শ বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর। করোনাকালে একে একে যখন সংকুচিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার তখন আশার আলো দেখাল ইউরোপের দেশ সার্বিয়া। বাংলাদেশ থেকে দুই শতাধিক দক্ষ শ্রমিক চেয়েছে দেশটি। এর মধ্যে শনিবার ভোরে প্রথম দফায় ৯ জন ঢাকা ছেড়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে পাঠানো হবে আরও ২৩ জনকে। দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দূরের গন্তব্যে উড়াল দেওয়ার আগে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ইউরোপগামীরা। পরিবার-পরিজনকে উন্নত জীবন দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশে উজ্জ্বল করতে চান বাংলাদেশের নাম। তারা বলেন,পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ যেতে তো খারাপ লাগবেই। তবে ভালো বেতন পাব, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। দুই বছর পর ফিতে আসতে পারব। ভালো কাজ করলে দেশের সুনাম বয়ে আনতে পারব। জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে, স্বল্প খরচেই পাঠানো হচ্ছে শ্রমিকদের। সার্বিয়ার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভিসা জটিলতার কারণে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে জানায় বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। লিংক আপ ইন্টার ন্যাশনালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বশির বলেন, এক লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে তারা যাচ্ছেন দায়ভার ক্যাটাগরিতে। তাদের ৪০০ ইউরো মিনিমাম বেতন হবে। খাওয়া থাকা সবকিছু বিনামূল্যে। বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, একটা উদ্যোগ চলছে প্রচুর মানুষ যেন সেখানে যেতে পারেন। এরই মধ্যে ২১০ জন কর্মীর নেয়ার কথা তারা জানিয়েছে। তবে চাহিদা অনুসারে ভিসা পাওয়া দরকার সেটি ধীরে ধীরে আমরা পাচ্ছি। ইউরোপের রোমানিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায় বলেও জানান বিএমইটির মহাপরিচালক।