আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ির সামনের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি বিস্ফোরিত ও ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়কে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুপ্রভাত চাকমা ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে কে বা কারা দিনদুপুরে এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। স্থানীয় সূত্র জানায়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারীরা এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ দলীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করছেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, এটি একটি সাজানো নাটক। বসুরহাট- দাগনভূঞা সড়কটি একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ সড়কে বার বার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাদের মির্জা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চা়ন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাদের মির্জার নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জকে অস্থিতিশীল রাখতে এবং প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে তার অনুসারীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে। ওসি সাইফুদ্দিন আরও জানান, মন্ত্রী বাড়ির সামনে বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়কের ফাঁকা জায়গায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এছাড়া ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও একটি কার্তুজ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পরপরই সার্কেল এসপিসহ অফিসার পাঠিয়েছি। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।