শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ ও অন্যদের উদ্বুদ্ধকরণে ৪ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনাগুলো জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী নিজ নিজ ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্বুদ্ধ করবেন, এ বিভাগের আওতাধীন বিভাগ বা জেলা অথবা উপজেলা পর্যায়ের দপ্তর বা সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা বা কর্মচারী সহ আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অথবা কর্মকর্তা বা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবেন, শিক্ষকরা অনলাইন বা ভার্চুায়াল ক্লাসে শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করবেন। এছাড়া, এই বিভাগের আওতাধীন সকল দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা অথবা কর্মচারীগণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা দিবেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসা সমূহ বন্ধ রয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে আবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি। এরআগে করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সক্ষম হব। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় যারা আছে, সবাইকে যেন ভ্যাকসিন পর্যায়ে আনতে পারি এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নেব।’