ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইলিয়াসের আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ে, চাঁদাবাজি, হত্যা, নারী নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর মাসুদ রানা এরশাদকে সভাপতি এবং তৌহিদুল ইসলাম দীপকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রথম কমিটি ঘোষণা করেন সোহাগ-নাজমুলের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি। এর প্রায় এক বছর পর ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এক বছর মেয়াদী এই কমিটির পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে বিলুপ্ত করার পর থেকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি আর ঘোষণা হয়নি। মূলত পূর্নাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়ার পর বেপারোয়া হয়ে উঠেন ইলিয়াস আহামেদ। গড়ে তুলেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। জরিয়ে পরেন বিভিন্ন অপকর্মে। ইলিয়াস আহমেদ বাদি হয়ে করা মামালার সুত্রে থেকে জানা যায় ৩১/১০/২০১৬ইং তারিখে নুসরাত জাহান মারিয়া কে কোর্ট ম্যারেজ এর মাধ্যমে বিয়ে করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এক বছর পর ১৫/১০/২০১৭ইং স্ত্রী ও শশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে চুরি ও প্রতারনার দায়ে আদালতে মামলা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। অপর দিকে ২৩/১০/১৭ইং তারিখে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নুসরাত জাহান মারিয়া। এছাড়াও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় ০১/১১/১৭ইং তারখে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন আলোচিত এই ছাত্রলীগ নেতা। তৎকালীন সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফলাও করে তার গ্রেফতারের খবর প্রচারিত হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ। এই বিষয়ে কথা হলে ইলিয়াস আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কোন সত্যাতা নেই। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ইন্ধনে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।