হোয়াটসঅ্যাপের যে মেসেজে সাড়া দিলেই সর্বনাশ
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে নানা সময়ই ফাঁদ পাতে হ্যাকাররা। অসাবধান হলেই খোয়া যেতে পারে অ্যাকাউন্টটি। এ মুহূর্তে তারা ব্য়বহার করছে ভ্যারিফিকেশন কোড। জেনে নিন কীভাবে এ বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন। অন্যথায় আপনার অ্যাকাউন্টের দখল চলে যাবে হ্যাকারদের দখলে। আগে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফাঁদ পাতে হ্যাকাররা। প্রথমেই আপনি একটি কোড পাবেন। এবং সেটি আসবে আপনারই কোনো বন্ধু বা আত্মীয়র কাছ থেকে। সেই সঙ্গে আরেকটি বার্তায় বলা হবে, ভুল করে তিনি নিজের ভ্যারিফিকেশন কোডটি আপনাকে পাঠিয়ে ফেলেছেন। আপনি সেটি যেন তাকে ফরোয়ার্ড করেন। আর এখানেই আসল চক্রান্ত। কোনো বন্ধু বা সুহৃদ নয়, আসলে মেসেজটি দিয়েছে হ্যাকারই! যদি সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন তাহলেই আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে তার হাতে। অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যাবে। কাজেই এ ধরনের কোনো মেসেজকে ভুলেও বিশ্বাস করবেন না। মনে রাখবেন, হোয়াটসঅ্যাপ কখনও অন্য নম্বরে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠায় না। সুতরাং এমন বার্তা মানেই তাকে অশনিসংকেত ভেবে নিয়ে অবিলম্বে সাবধান হোন। তবে যদি একান্তই ভুল করে ফাঁদে পা দিয়েও ফেলেন তাহলে রক্ষা পাওয়ার উপায় আছে একটা। জেনে নিন সেই পদ্ধতি: সেক্ষেত্রে আপনার ফোনে এসএমএস আসবে। যার মধ্যে ৬ অঙ্কের ভ্যারিফিকেশন কোড থাকবে। সেই কোড থেকেই ফের হোয়াটসঅ্যাপে লগ ইন করতেই অন্য ফোনে খুলে রাখা হোয়াটসঅ্যাপটি লগআউট হয়ে যাবে। এরই পাশাপাশি আপনার ফোনে ‘টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন কোড’ চালু রাখুন। না হলে হ্যাকার চাইলে আপনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই সে ওই পদ্ধতি চালু করে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন